Wellcome to National Portal
  • 2023-03-20-12-31-537cfa40422fde10a65b3cee0cc26502
  • 2025-04-21-05-59-c21b15994bbe4271fc3d40b1f62d461c
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ August ২০১৯

হ্যাচারীর দুষিত পানি পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রে ফেলা রোধকল্পে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2019-08-06

IMG_2211

গতকাল ০৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখ হ্যাচারীর দুষিত পানি পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রে ফেলা রোধকল্পে এক মতবিনিময় সভা কউক সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আলহাজ¦ আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য, কক্সবাজার-২। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং সকলের কাছে পরিচিত করে তুলতে হ্যাচারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি আরো বলেন, বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার চিংড়ি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। ফলে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে চিংড়ি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হ্যাচারীর দুষিত পানি পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রে ফেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হ্যাচারীতে কোনভাবেই দুষিত পানি ব্যবহার করা হয় না। চিংড়ির লার্ভা খুবই স্পর্শকাতর বিধায় যতœসহকারে চিংড়ির পোনা চাষ করা হয়। তারপরও তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে হ্যাচারী সমূহ পরিদর্শন করে বিষাক্ত কোন কিছু পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান। 
সভাপতির বক্তব্যে লে: কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ যাতে দুষিত না হয় তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই প্রেক্ষিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাই তিনি সমুদ্র সৈকতের সুন্দর পরিবেশ রক্ষার্থে সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। 
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ বলেন, এই কক্সবাজার আমাদের সকলের। তাই চিংড়ি শিল্প রক্ষার পাশাপাশি বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে রক্ষাও আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। তাই সকলের যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। 
শ্রীম্প হ্যাচারী এসোসিয়েশন, কক্সবাজার এর সাধারণ সম্পাদক মো: নজিবুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে হ্যাচারী শিল্প একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই হ্যাচারী শিল্প উন্নয়নে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এছাড়া তিনি মতবিনিময় সভার আলোচ্যসূচীর বিষয়ে বলেন হ্যাচারী সমূহে বিষাক্ত কোন কিছু পাওয়া গেলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো: নুরুল আমিন, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার; বাবুল চন্দ্র বনিক, এএসপি (ট্রাফিক); প্রকৌশলী বদিউল আলম, বোর্ড সদস্য কউক, নাজিম উদ্দিন, সিনিয়র প্ল্যানার, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর। 
সভায় হ্যাচারীর দুষিত পানি পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রে ফেলা রোধকল্পে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপ এবং করণীয় বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কউকের উপনগর পরিকল্পনাবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলি। সভায় চিংড়ী হ্যাচারীর মালিক, প্রতিনিধি এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।